নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:
মণিরামপুরের পল্লীতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী কর্তৃক আওয়ামীলীগ নেতার প্রাইভেটকার ভাংচুর ও ড্রাইভারকে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও গত ৪ দিনেও পুলিশ প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ গ্রহন না নেয়ায় ভূক্তভোগী ও তার পরিবার এখন হামলাকারীদের ভয়ে আতংক গ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
জানাযায়, উপজেলার ১৪নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দূর্বাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদের পারিবারিক ভাবে ব্যবহারিত ঢাকা মেট্রো-খ ১১-৫৬০৮ প্রাইভেটকারটি নিয়ে শ্যামকুড় ইউনিয়নের মৃত আব্দুল আজিজ মোল্যার পত্র ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস গত ৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাত ১২ টার দিকে মালিকের পরিবারের সদস্যদের বাড়ীতে পৌছুয়ে দিয়ে প্রাইভেট কারটি নিয়ে নিজ বাড়ী বাঙ্গালীপুরে ফিরছিল। পথিমধ্যে দূর্বাডাঙ্গা সরদার পাড়া-বাঙ্গালীপুর সড়কের ডাকসারা বিলের ব্রীজের নিকট পৌছুলে বাঙ্গালীপুর গ্রামের মৃত দুঃখে মোড়লের পুত্র আবুল হোসেন, একই গ্রামের সাজু মোড়লের পুত্র ওমর আলী, গোবিন্দপুর গ্রামের মাজিত গাজীর পুত্র ওলিয়ার রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের একটি সন্ত্রাসী দল কুদ্দুসকে হঠাৎ আক্রমণ করে দেশীয় অস্ত্র লাঠি, লোহার রড দিয়ে এলাপাথাড়ি মারপিট করে প্রাইভেটকারটি ভাংচুর করে। এ সময়ে ড্রাইভার কুদ্দুস প্রাণভয়ে গাড়ী ফেলে পালাতে গেলে তাকে ধান ক্ষেতের কাঁদার মধ্যে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে পুতে রেখে দেয়। পরে তার পকেটের মানিব্যাগে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২৭নং শ্রমিক ইউনয়নের সদস্য কার্ড ও গাড়ীতে থাকা গাড়ীর যাবতীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা। এ সময়ে টের পেয়ে এলাকাবাসী কুদ্দুসকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ঘটনার দু’দিন পর কিছুটা সূস্থ্য হয়ে ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় আবুল হোসেন, ওমর আলী, ওলিয়ার রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার পর ৪দিন অতিবাহিত হলেও থানা-পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ দায়েরকারী ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস জানান, হামলাকারীদের ভয়ে বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতংক গ্রস্থের মধ্যে দিনানিপাত করছি। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জিম্মি হয়ে পড়েছি ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের কাছে। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মুহাম্মদ মোর্কারম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply