মোঃ আয়ুব হোসেন (পক্ষী)বেনাপোল প্রতিনিধি:-থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত সমাজ গড়তে এবং নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে ভারত-বাংলাদেশ ৭ দিনের মৈত্রী যাত্রা করেছে ভারতের অল ইন্ডিয়া ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ৯৩ জন সদস্য। মটরসাইকেল প্রচারাভিযানের কথা বলা হলেও মটরসাইকেলের অনুমতি না থাকায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মটরসাইকেল প্রবেশে অনুমতি না দেওয়ায় তারা বাসে করে ঢাকা যাবেন বলে জানান কর্মকর্তারা।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের যাত্রা ভারতের বারাসাত থেকে বাংলাদেশের ঢাকা। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের যাত্রা। এ যাত্রায় প্রতিনিধিত্ব করছেন অল ইন্ডিয়া ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাসুদেব ভরদ্বাজ, কার্যকরি সভাপতি আশিষ বৈদ্য, মূখ্য উপদেষ্টা দিলীপ মজুমদার ও সম্পাদক দিলীপ মন্ডল।
চেকপোস্ট থেকে বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল পৌরসভায় পৌছালে তাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
এর আগে মোটর সাইকেল র্যালির শুভ সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার ডেপুটি স্পীকার এইচ.এ. সফি, রাজ্য পুলিশের ডিজিপি (টেলিকম) অনিল কুমার, রাজ্য পুলিশের আইজিপি অজেয় রানাডে প্রমুখ।
অল ইন্ডিয়া ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাসুদেব ভরদ্বাজ জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি জিন ঘটিত রক্তাল্পতা রোগ অর্থাৎ বংশানুক্রমিক বিকার, যা বাবা মার শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে। মা বাবা দুজনেই এই জিন বহন করে থাকে। এই চোরা দুরারোগ্য ব্যাধি নিঃশব্দে নিঙড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার প্রাণ। অজ্ঞানে, অজান্তে নীরবে মাথা পেতে নিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে কত শিশুর তর-তাজা প্রাণ।
রক্ত সংকট মোচন করতে হলে থ্যালাসেমিয়া শিশুর জন্ম আটকানো অত্যন্ত জরুরী। এই রোগ আটকানোর মূল চাবিকাঠি হল রোগ সম্পর্কে সাধারন মানুষকে সচেতন করা। সেই কারণে আমরা প্রতিবছর শতাধিক যুবক মটরসাইকেলে ১০/১৫ দিন ধরে প্রচারাভিযান চালিয়ে থাকি। এ বছর আমাদের প্রচারাভিযান ভারত-বাংলাদেশ।
অল ইন্ডিয়া ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক দিলীপ মন্ডল জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে জেনে নিন আপনি থ্যালাসেমিয়া বাহক কিনা। একজন বাহক যেন আর একজন বাহককে বিয়ে না করেন্ এই রোগের বাহক নয় এমন কাউকে বিয়ে করতে পারেন। বিয়ের পর স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে যদি দেখা যায় একজন বাহক তাহলে অবশ্যই অন্যজনের রক্ত পরীক্ষা করানো উচত। যদি দেখা যায় স্বামী স্ত্রী উভয়েই এই রোগের বাহক সেক্ষেত্রেও গর্ভাবস্থায় ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভস্থ ভ্রুণের পরীক্ষা করান। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply