মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ মনিরামপুরের পল্লীতে মৎস্যঘেরের জমি লিজ(হারি)নেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ধুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে দুপক্ষের শুনানী হয়। শুনানীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে জমির মালিকদের একটি বড়অংশ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্রকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় জানান, মহিষদীয়া গ্রামের হাটগাছা-বাজেকুলটিয়া-সুজাতপুর বিলের একটি ঘেরের মালিকানা নিয়ে(লিজ সূত্রে) মৎস্য ব্যবসায়ী শংকর রায় এবং হাবিবুর রহমান হবির মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। হাবিবুর রহমান হবি এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে প্রায় একমাস পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেন। সে মোতাবেক সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে(পোড়াডাঙ্গা) দুপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী শুরু হয়। এক পর্যায়ে শুনানী মুলতবি করে পরবর্তি তারিখ নির্ধারন করা হয়। আর এ খবরে হাবিবুর রহমান হবী পক্ষের লোকজন(জমির মালিকদের বড় একটি অংশ) পরিষদের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্রকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। শংকরের পক্ষ অবলম্বন করার দোষারোপ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে নেহালপুর ফাঁড়ি পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র আরও জানান, শুনানী মুলতবি করে দুপক্ষকে জমির লিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করতে আগামি ৮ জুন পরবর্তি শুনানীর তারিখ নির্ধারন করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন শুনানী চলাকালে হবি পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে তাকে প্রায় আধাঘন্টা অবরুদ্ধ করে বিভিন্ন আপত্তিকর শ্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্রের বিরুদ্ধে কয়েকজন জমির মালিককে শাসিয়ে শংকর রায়ের পক্ষ নিতে হুমকি দিয়েছেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন। তবে হাবিবুর রহমান হবি জানান, ১৮৩ জন মালিকের কাছ থেকে তিনি বিভিন্ন হারে ১৯৯ বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। অন্যদিকে শংকর রায় জানান, তিনি ১২ সাল থেকে ২৩০ জন মালিকের কাছ থেকে আট বছর মেয়াদী বিভিন্ন হারে ২৪৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মৎস্যচাষ করে আসছেন। আবারও তিনি লিজ নিতে অধিকাংশদের টাকা প্রদান করেছেন। ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই সৈয়দ বখতিয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীর সময় পরিষদের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করা সঠিক হয়নি।
Leave a Reply