ফরিদা ইয়াসমিন পলি, ঝিকরগাছা প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের সকল পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা’র শতভাগ সরকারের রাজস্বখাত থেকে প্রাপ্তি এবং পেনশন প্রথা চালুর দাবি জানিয়েছেন, যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যড. মনিরুল ইসলাম মনির। সোমবার দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধি অনুসারে এ বিষয়ে তিনি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৌরসভাকে সংবিধানের ৫৯(১) অনুচ্ছেদ ‘প্রশাসনিক একাংশ’ রুপে নির্বাহী বিভাগের ০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদান করেন। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেল অর্ন্তভুক্তি করেছিলেন, যা পৌর পরিবার শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি পৌরসভা পৌরবাসীর সার্বিক চাহিদা তথা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সকল কার্যাদি অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ১৮৬৭ সন হতে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা প্রদান করে আসছে। পৌরসভার পর্যাপ্ত নিজস্ব আয় না থাকায় পৌর কর্মচারীদের ২-৫৬ মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা বকেয়া হওয়া, পিএফ ও গ্রাচুইটি খাতে নিয়মানুযায়ী টাকা জমা না হওয়া, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় পেনশন সুবিধা না থাকা, প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনেক পৌরসভা এখনও জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারা, শত শত কর্মচারী অবসরে যাওয়ার পরেও তাদের নায্য পাওনা না পাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে পৌর কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
তিনি আরো বলেন, পৌরসভার রাজস্ব আয় যেমন হাটবাজার ইজারা লব্দ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেও যদি বেতন-ভাতা ও পেনশন সুবিধা প্রদান করা হয়। তাহলে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন থেকে রক্ষা পেতে পারে। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্তমান মানবিক দিকগুলো ও করুণ দুর্দশার কথা বিবেচনা করে পৌরসভার কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন সুবিধা সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য জনসাধারণের দিক বিবেচনা করলে এই বিষয়টি অতি জরুরী জনগুরুত্ব সম্পন্ন বিধায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Leave a Reply