# নাশকতার মামলায় হাজতবাস করেও ভূয়া মেডিকেল দেখিয়ে ছুটি ভোগ
মণিরামপুর থেকে:
এ,এইস,এম হাবিবুর নামের একই ব্যক্তি দুই মাদরাসায় আলাদা-আলাদা ভাবে অধ্যক্ষ ও সুপার হিসেবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে সুপার পদের বিপরীতে ৭ মাস বেতন-ভাতাদি উত্তোলন একই সাথে অন্য মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ নিয়ে ৭ মাসের বকেয়াসহ বেতন-ভাতাদির বিপুল অংকের টাকাও হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়ে হাজতবাসের দিনগুলো ভূয়া মেডিকেল নিয়ে ছুটি ভোগ করেছেন। দুই ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতাদি উত্তোলনসহ নানাবিধ অভিযোগ এনে এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসি লিখিত আবেদন দিয়েছেন।
জানাযায়, যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংগা দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালিন গত ১৯-১১-১৮ ইং তারিখে মনিরামপুর উপজেলার টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তারপরও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে পূর্বের কর্মস্থলে গিয়ে গোপনে হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করতেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানাযায়, পূর্বের কর্মস্থল ছিলো যশোর সদর উপজেলাধীন। তিনি রুপালী ব্যাংক যশোর সদর শাখা হতে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করতেন। নতুন কর্মস্থলে যোগদানের তারিখ হতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত রুপালী ব্যাংক যশোর শাখায় টি-২১৪১৪২৮ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরমধ্যে নতুন কর্মস্থলে অধ্যক্ষ পদের বিপরীতে চলতি বছরের জুলাই মাসের এমপিও’তে (মান্থলি পে অর্ডার) বকেয়াসহ ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৪ টাকা আসে। যা রুপালী ব্যাংক মনিরামপুর শাখার টি-৪৭০৬ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে উত্তোলণ করেন। এছাড়া ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর মনিরামপুর থানায় অধ্যক্ষ এ,এইচ,এম হাবিবুরের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি ৩৫ নম্বর আসামী। মামলায় একবার আটক হন এবং আরেকবার চলতি বছরের ২০ আগস্ট নিজেই আদালতে আত্মসমর্পন করে ১১ দিন হাজতবাস করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে হাজতবাসের দিনগুলো অধ্যক্ষ ভূয়া মেডিকেল নিয়ে ছুটি ভোগ করেছেন বলে দেখিয়েছেন।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ এ,্এইচ,এম হাবিবুর উত্তোলনকৃত অতিরিক্ত অর্থ চলতি মাসের ৫ তারিখে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেন। নাকশকতার মামলায় হাজতবাসের কথা জানতে চাইলে এখন কথা বলার সময় নেই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পূর্বের কর্মস্থলের সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেন, অন্যত্রে যোগদানের পর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়া ভূল ছিলো।
বর্তমান কর্মস্থলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোড়ল বলেন, দুই প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তোলন করলেও পরে তিনি নিয়মানুযায়ী পরিশোধ করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, এমন দুর্নীতি হয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply