বি,এম হাফিজুর রহমান হাফিজ,মনিরামপুর থেকে।।
জাতীয় রাজনীতির হাওয়া যত জোরে বইতে শুরু করছে,রাজনৈতিক নোংরামি,গ্রুপিং লবিং দিন দিন ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে।ঠিক তেমনি ভাবে মহান জাতীয় সংসদের ৮৯ যশোর ৫,মনিরামপুর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী,যশোর সিটিপ্লাজার সম্মানিত চেয়ারম্যান,সমাজ সেবক আলহাজ্ব এস,এম এয়াকুব আলী সি,আই,পি কে নিয়ে নতুন করে ফেসবুক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।অত্যন্ত নির্ভর যোগ্য সুত্র থেকে জানা যায়,দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যবসা করে এস,এম এয়াকুব আলী সি,আই,পি নিজেকে আজকের অবস্থানে দাড় করাতে সক্ষম হয়েছেন।
সততা, দক্ষতা মেধা আর ভাগ্যকে সঙ্গী করে বিদেশের মাটিতে থেকে নিজের পরিবার, প্রিয় মনিরামপুরের মানুষ ও পৈত্তিক রক্তের স্রোত ধারার রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভুলিনি কখনও। কারণে অকারনে দেশে আসলে অসহায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা ও সুখ দুঃখের খোজ খবর নিতে ভুল করেন নি কোন দিন।বিগত ১৪/১৫ বছর যাবত শুধু নিজ জন্মস্থান মনিরামপুর নয়,যশোরের প্রতিটি উপজেলাতেই স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগনিত টাকা পয়সা দান করেন কোন প্রকার উদ্দেশ্য ছাড়াই।কিন্তু বর্তমান মনিরামপুরের রাজনৈতিক অবস্থা,পরিবার এবং এলাকা বাসির দাবির মুখে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।ঠিক সেই কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে খাট করার জন্য ফেসবুকে আলহাজ্ব এস,এম এয়াকুব আলীকে নিয়ে কুরুচি পূর্ণ,বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন পোষ্ট দেওয়া হয়েছে। তেমনি প্রকাশিত একটি পোষ্ট হুবহু তুলে ধরা হল।
এ প্রসংঙ্গে এস,এম এয়াকুব আলীর চাচা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ মনিরামপুর কণ্ঠ নিউজকে বলেন এয়াকুব আমাদের সন্তান,আমাদের বংসের রক্ত এয়াকুবের শরীরে সুতরাং ও জামাত করে এ কথা যে বলবে তার জন্ম নিয়ে সন্দেহ আছে।সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন, ভদ্র সামাজিক উদার মানসিকতা প্রকৃতির একটি ছেলে এয়াকুব।
শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ও এয়াকুব আলীর চাচা ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল আওয়ামী লীগ। অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে অনেকেই যোগ দান করেন কিন্তু জামাতের কোন লোক আওয়ামী লীগে এসেছে এমন নজীর নেই। এয়াকুব নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র মুলক কাজ হলে তার শুধু প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ করা হবে।এমনকি আইনি পদ্দক্ষেপ ও নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান জানান এয়াকুব এন্টি জামাত মাইন্ডেন্ট।
এ বিষয় আলহাজ্ব এয়াকুব আলী জানান আমি কেন,আমার পরিবারের কেউ কখনও জামাতের রাজনীতি তো করেই না,এমনকি জামাতের রাজনীতি পছন্দ করে না।মনিরামপুরের অপ-রাজনীতি,নোংরামী,দূর্নীতি আর সাধারণ মানুষের সম্মান বাঁচাতে,পারিবারিক চাপে,দাদা,বাপ,চাচাদের রক্তের স্রোত ধারায় বঙ্গবন্ধু কণ্যার হাতকে শক্তিশালী করাটাই আমার মুল লক্ষ – একান্ত আলোচনায় কপোতাক্ষ নিউজকে বলেন আলহাজ্ব এয়াকুব আলী সরদার সি,আই,পি।
যশোর-৫ মনিরামপুরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করার লক্ষ নিয়ে নেত্রীর নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি।মনিরামপুরের নিজ এলাকায় এ বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং শ্যামকুড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামী লীগ সহ সর্বস্তরের মানুষ কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ প্রসংঙ্গে তাবুক থেকে মোবাইল যোগাযোগে পাওয়া তথ্য উপস্থাপন করা হল।
একজন ইয়াকুব আলী সি,আই,পি
আমি বলছি একজন সাদা মনের মানুষ। একজন ইয়াকুব আলী। সে একজন প্রবাসী রেমিটেন্স সৈনিক এবং একজন সফল ব্যবসায়ী প্রবাসে ও দেশে।
তিনি,
জনাব ইয়াকুব আলী। বছরের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স দাতা হিসাবে বাংলাদেশ সরকার পক্ষথেকে তিনি সি আই পি সম্মামনা পান।
পিতাঃ- আলহাজ্ব মোঃ জাবেদ আলী সরদার।
মাতাঃ- ফরিদা বেগম।
গ্রামঃ- আগরহাটি। পোঃ- লাউড়ি।
উপজেলাঃ- মনিরামপুর। জেলাঃ- যশোর।
প্রায় বছর দশেক আগে তার সাথে আমার পরিচয় হয় জেদ্দা বাংলাদেশ দূতাবাস এর টিম এর মাধ্যমে। আমি খুব সাধারন একজন। আমি যে হোটেল এ চাকুরীরত সে সময় প্রথম দূতাবাস টিম এসে উঠেছিলো আমাদের এই হোটেলটায়। তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষথেকে তাদের তত্বাবধান করতো।
সেই থেকে মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া কথা বার্তায় তার সাথে অনেকটা ঘনিষ্টতায় আসার সুযোগ পাই আমি। কখনো তারকাছে কোনরকম অহংকার দেখিনি। প্রাণ ভরে কথা বলার একজন মানুষ। যে মানুষটির প্রতিভা দেখে অনুপ্রানিত হই।
জনাব ইয়াকুব আলী সৌদি আরব তাবুকে দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন। পাশাপাশি তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত আছেন। প্রবাসে থেকে যেমন নিজ দেশের ভাবনায় থেকেছেন তেমনি দেশেও তিনি কিন্তু বসে থাকেন নি। যশোরে গড়ে তুলেছেন হোটেল সিটি প্লাজা। সেখানেও অনেক লোকের কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছেন।
দানবীর ইয়াকুব আলী সি, আই, পি
আমাদের দেশে কিন্তু এধরনের মানুষ এর খুবই অভাব হাজার ঘাটলে এমন ব্যক্তি পাওয়া বড়ই দুস্কর। নিজ উদ্দ্যেগে তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল গড়ে তুলেছেন এমন অনেক।
শুধু তাই নয় তার নিজ উপজেলায় এমন অনেক হতদরিদ্র আছে যাদের সে নিজ অর্থায়নে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন।
আসলে এসব আমি তার কাছ থেকে জানিনি। তার নিজ এলাকায় তার জনপ্রিয়তার কিছু কিছু পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করেছি। তৃনমূল পর্যায়ে তার যে জনপ্রিয়তা অনেকে তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় হবার পরামর্শ দিয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাথে জড়িত থাকলেও প্রবাসে থাকার কারনে প্রথমাবস্থায় সময় দিতে না পারলে ও বর্তমানে তিনি প্রচুর সময় দিচ্ছেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। আমরা গর্বিত তাকে নিয়ে। প্রবাসের নানান প্রতিবদ্ধকতা থাকা সর্তে ও একজন ইয়াকুব আলীর এভাবে সামনে অগ্রসর হওয়া বড়ই কষ্ট সার্ধ।
আমাদের প্রবাসীদের প্রেরণার উৎস জনাব ইয়াকুব আলী।
আমি ব্যক্তি হিসেবে তার উত্তারোত্তর সফলতা কামনা করছি।
আমাদের মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রার্থনা থাকবে জনাব ইয়াকুব আলী সি আই পি কে যশোর মনিরামপুর থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হোক। যাতে করে একজন ইয়াকুব আলীকে জড়িয়ে আরো নতুন নতুন ইয়াকুব আলীর জন্ম হোক।
হয়তো ভাবতে পারেন আমার জেলা চট্টগ্রাম আর জনাব ইয়াকুব আলী হলো যশোরের তারজন্য এই একথা বলার কারন সে একজন প্রবাসী যা আমাদের গর্ব। মানবিক মূল্যবোধ থেকে লেখা। একজন ইয়াকুব আলীকে নিয়ে অনেককিছু বলার আছে জানার আছে। আবার বলবো আরো কিছু বিষয় নিয়ে সময় হলে।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিরাপদে পথ চলবেন।
জাবেদ হোসাইন
তাবুক, সৌদি আরব।
Leave a Reply