জবি প্রতিনিধি: সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব থাকলেও
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এ ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়েছে।
কোটা আন্দোলনের কোনরকম প্রভাব পড়েনি ক্যাম্পাসে। দীর্ঘ
১ মাসের ছুটি শেষে রোববার ক্যাম্পাস খুলেই বিভিন্ন
বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসে
সতীর্থদের সাথে দেখা করেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন
অনেকেই।
এদিকে গত কয়েকদিন থেকে কোটা সংস্কার নিয়ে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা
শারীরিকভাবে হয়রানীর শিকার হওয়ায় ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের
ঘোষনা দিয়েছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে
নেতৃত্বদানকারীরা। কিন্তু এসবের প্রভাব মুক্ত ছিল জবি
ক্যাম্পাস।
এদিকে গতকাল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের
সভাপতি মো.তরিকুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে তার টাইমলাইনে এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘আমরা জবি
শিক্ষার্থীরা মেসে থেকে অনেক কষ্টে লেখা পড়া করি। একটি
সেমিস্টার ক্ষতি হলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। তাই কোনো
ষড়যন্ত্রকারী যদি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করে আমাদের শিক্ষার
পরিবেশ নষ্ট করে তাহলে আমরা সেটা কঠোর হস্তে দমন করব। তাই
আগামীকাল থেকে সকল শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের সতর্ক থাকার
অনুরোধ যেখানেই ষড়যন্ত্রকী সেখানেই প্রতিরোধ।’
সামাজ কর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না
করার শর্তে বলেন, যেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি প্রকাশ্য আন্দোলন
কারীদের ঠেকানো কথা বলেন, সেখানে আন্দোলন করা একটু
তো কঠিন হবেই। তবে আমরা এসব বাধা পেরিয়ে আগামী
দিন থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
জবিতে আন্দোলনের কোনো প্রভাব না থাকার বিষয়টি জানতে
চাইলে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমীন বলেন,
আমাদের ক্যাম্পাস আজ খুলেছে। অনেকেই গতকাল ঢাকা
এসেছে। তাই তারা ঢাকার আন্দোলনের পরিবেশ বুঝে উঠতে
পারেনি। তাছাড়া বিশ্বকাপ ফুটবলের কারণে ঢাকায় আন্দোলনের
মোটিভ বুঝতে পারেনি। তবে আশা করছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা
স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.তরিকুল
ইসলাম বলেন, ‘যারা ভালো ছাত্র তারা লাইব্রেরীতে সময় দিচ্ছে।
আর যারা বিরোধী দলের টাকা খেয়েছে তারাই মুলত আন্দোলনে
আসছে। কোটা থাকার পরেও জবি বিসিএস পরীক্ষায় দ্বিতীয়
হয়েছে। আর যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন সেখানে
আন্দোলনের তো কিছু নাই।’
Leave a Reply