মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : ‘মণিরামপুরের বাহাদুর’ খ্যাত দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার বাহাদুর আলী মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
সরদার বাহাদুর আলী প্রায় ছয় মাস ধরে দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত ১২ দিন ধরে তিনি রাজধানীর আশুলিয়ায় ঢাকা আহছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গত তিনদিন ধরে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় স্বজনরা বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলা পৌনে একটার দিকে অ্যাম্বুলেন্স ফেরিঘাটে পৌঁছুলে তিনি মারা যান।
দুর্বাডাঙ্গা ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান মিন্টু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
তবে চেয়ারম্যানের জামাতা মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা আব্দুল গফ্ফার জানান, সোমবার ভোরের দিকে ‘ক্লিনিক্যাল ডেড’ হয়েছেন চেয়ারম্যান। যদিও তখন চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেননি।
সরদার বাহাদুর আলী ১৭ বছর ধরে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদেরও টানা আট বারের চেয়ারম্যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় শ্যামনগর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ খান বলেন, ‘প্রায় ছয়মাস ধরে সরদার বাহাদুর আলী ক্যানসারে ভুগছিলেন। কয়েকমাস আগে তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইতে নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পর গত সপ্তাহে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ভারতে যাওয়ার আগেও ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়েছিল সরদার বাহাদুরকে।’
বসির আহমেদ খান জানান, বিকেল চারটার দিকে সরদার বাহাদুরের লাশ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে রাখা হবে। শুক্রবার সকাল নয়টায় স্থানীয় বাজিতপুর হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
Leave a Reply